সিভি লেখার সঠিক নিয়ম ২০২৪ পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। আপনি কি cv লেখার নিয়ম জানতে এখানে এসেছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। সিভি হচ্ছে একজন ব্যক্তির সার্বিক জীবন বৃত্তান্ত। আজকের পোস্টে সিভি লেখার নিয়ম এবং সিভি সম্পর্কিত কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সিভি লেখার সঠিক নিয়ম ২০২৪ |
চাকরি প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ভালো সিভি তৈরি করা। যা আপনার সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের একটি ভালো ধারণা দেয়। এর জন্য আপনার প্রয়োজন সিভি লেখার নিয়ম ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারা।
আমাদের দেশের বহু সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী একটা ভুল করেন যা হলো, কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে পাওয়া সিভি (CV) চাকরির আবেদনের সময় জমা দেয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলোর মান ঠিক থাকে না। এ ধরনের সিভি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন।
সিভি কী?
CV: সিভি বা কারিকুলাম ভিটা (Curriculum Vitae) হলো ২ - ৩ পাতার একটি ডকুমেন্ট যেখানে আপনার কাজ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার মূল অংশগুলোর উল্লেখ থাকে। এটি সাধারণত ইংরেজিতে লেখা হয়।
সিভি লেখার নিয়মঃ
১। ব্যক্তিগত তথ্যঃ এ অংশে আপনার নাম, ফোন নাম্বার, ইমেইল এবং ঠিকানা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে যোগাযোগের ঠিকানা দিতে হতে পারে। তবে আপনার Photo দেয়া আবশ্যক নয়।
২। সারাংশঃ এই অংশে সংক্ষেপে নিজের পরিচয় দিতে হয়। এটি ইংরেজিতে ‘Personal Statement’ বা ‘Objective’ হিসাবে পরিচিত। আপনি কোন ধরনের ক্যারিয়ার গড়তে চান ও সে ক্যারিয়ারের সাথে বর্তমান চাকরি কিভাবে সম্পর্কযুক্ত, সে ব্যাপারে 100 ওয়ার্ডের মধ্যে লিখুন।
৩। কাজের অভিজ্ঞতাঃ এর আগে আপনি কোন ধরনের কাজ করেছেন, সে সর্ম্পকে বর্ণনা করুন এ অংশে। সাম্প্রতিক কাজের বিষয়ে সবার আগে লিখুন।
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাম্প্রতিক ডিগ্রি বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে শুরু করুন। মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হলে HSC বা এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
৫। দক্ষতা ও অর্জনঃ আপনি যে চাকরির জন্য এপ্লাই করছেন, তার সাথে সম্পর্কিত কোন অভিজ্ঞতা থাকলে এ অংশে লিখুন। প্রাসঙ্গিক হলে কোন পুরস্কার, সম্মাননা বা প্রকাশনার কথাও এ অংশে উল্লেখ করতে পারেন।
৬। রেফারেন্সঃ আপনার কাজ বা দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে ভালো ধারণা রয়েছে এমন ২-১ জন ব্যক্তির নাম ও যোগাযোগের তথ্য Reference হিসাবে দিন। তবে আগেই তাদের অনুমতি নিয়ে রাখুন। উল্লেখ্য যে, সব চাকরির জন্য Reference অংশ থাকার বাধ্যবাধকতা নেই। প্রয়োজনে নিয়োগদাতারা আপনার কাছে এ ব্যাপারে তথ্য চাইতে পারেন।
সিভি ফরম্যাটঃ
- অধিকাংশ চাকরির জন্য ১-২ পেইজের সিভি বানানোই ভালো।
- সিভির জন্য ‘A4’ সাইজের পেইজ ব্যবহার করুন।
- সিভিতে Cambria, Calibri বা Times New Roman ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন। 11/12 ফন্টের সাইজ বেছে নিলে ভালো। ১-২ ধরনের ফন্ট কালারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন।
- সিভির অংশগুলোকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে 14-16 ফন্ট সাইজের Subheading ব্যবহার করুন।
- পড়ার সুবিধার জন্য বা সুন্দর ডিজাইনের জন্য বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে সারাংশের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। ২ লাইনের মধ্যে যথেষ্ট স্পেসিং বজায় রাখুন।
- বিশেষ কোন দরকার ছাড়া সিভির ডিজাইনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা হতে বিরত থাকুন। নিয়োগদাতার কাছে ডিজাইন দৃষ্টিকটু লাগলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেশি।
পড়ুন - আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা
সিভি কোন ধরনের লিখবেন?
১। দক্ষতাভিত্তিক সিভিঃ যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তার সাথে সম্পর্কিত দক্ষতাগুলোর উপর জোর দিয়ে এ ধরনের সিভি লিখতে পারেন। শিক্ষার্থী ও সদ্য গ্র্যাজুয়েট হয়ে থাকলে বা এক ক্যারিয়ার হতে অন্য ক্যারিয়ারে যেতে হলে এ ধরনের সিভি প্রযোজ্য।
২। কাজের অভিজ্ঞতাভিত্তিক CV: বর্তমান চাকরি থেকে সিনিয়র কোন পদের চাকরিতে এপ্লাই করলে এ ধরনের CV লিখুন।
৩। কি দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিবরণ দেয়া এ সিভির উদ্দেশ্য নয়। বরং আপনার কাজ কোন ধরনের সাফল্য পেয়েছে বা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেছে, তা উপস্থাপন করুন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট -
আশা করি, সিভি লেখার সঠিক নিয়ম ২০২৪ পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। cv লেখার নিয়ম 2024 । cv likhar niyom । সিভি লিখার নিয়ম পোস্ট টি পড়ে জানতে পারবেন কিভাবে সিভি লিখতে হয় এবং সিভির ফরম্যাট সর্ম্পকে জানতে পারবেন।